,

নবীগঞ্জে দু’চাচাতো ভাইয়ের পরিবারে মধ্যে ভয়াবহ সংর্ঘষ

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে ঘর দখলকে কেন্দ্র করে দু’চাচাতো ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে গত ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। এতে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আহত হয়েছেন ৭ জন। এ ব্যাপারে গুরুতর আহত চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাই জিতু মিয়া মেম্বারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের (৩য় পৃষ্টায় দেখুন) করেছেন। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের লোগাঁও গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ নেওয়াজ তার ভাই মৃত মিছবাউজ্জামানের ছেলে বদিউজ্জামান বাবুলের সাথে অপর ভাই মৃত আলী নেওয়াজের তূমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয় ভাবে একাধিকবার সমঝোতার চেষ্টা করেও কোন সুরাহা হয়নি। এদিকে গত ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে মৃত আলী নেওয়াজের পক্ষ নিয়ে তার শ্যালক ও চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই জিতু মিয়া মেম্বার লোকজন নিয়ে প্রবাসী বদিউজ্জামানের বিলাস বহুল বাড়ি-ঘর দখল করতে গেলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ব্যক্তিগত বন্দুক থেকে কয়েক রাউন্ড ফাকাঁ গুলি বর্ষন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ নেওয়াজ (৬৫), আলা মিয়া (৪৫), জিতু মিয়া (৫০), ইয়ারুপ মিয়া (৪৭), সুনা মিয়া (৩৫), রায়হান মিয়া (৩০) আহত হয়। গুরুতর আহত আলা মিয়া কে সিলেটে ও চেয়ারম্যান শাহ্ নেওয়াজ কে নবীগঞ্জ এবং জিতু মিয়া ও ইয়ারুপ মিয়াকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের সময় গুলি বর্ষনের জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছে উভয় পক্ষ। জিতু মিয়া মেম্বার জানান, তাদের ভগ্নিপতি আলী নেওয়াজ মারা যাবার পর তাদের বোন মিলন বেগম লন্ডন যাবার সময় ওই ঘরটি তাদের জিম্মায় রেখে যান। মঙ্গলবার বেলা ৫টার দিকে চেয়ারম্যান পুত্র রাসেল লোকজন নিয়ে ঘরটি দখল করেছে। বাধা দেয়ায় সে বন্দুক দিয়ে গুলি ছুড়ে। চেয়ারম্যান পুত্র ফয়েজ আমীন রাসেল জানান, প্রবাসী চাচাতো ভাই বদিউজ্জামানের ভোগদখলে থাকা কোটি টাকার বাড়ি মঙ্গলবার ৫টার দিকে জিতু মিয়া মেম্বার লোকজন নিয়ে জবর দখলের চেষ্টা করলে বাধা দেয়া হয়। কিন্তু তারা বাধা না মেনে আমার পিতা সাবেক স্বনামধন্য চেয়ারম্যান শাহ্ নেওয়াজকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রাণেহত্যার চেষ্টায় মারপিট করে এবং গুলি বর্ষন করেছে। আত্মরক্ষার্থে আমরাও আমাদের লাইসেন্সধারী বন্দুক দিয়ে ফাকাঁ গুলি বর্ষন করি। অন্যতায় আমার পিতাকে বাচাঁনো সম্ভব হতো না। ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খয়ের গোলাপ বলেন, মরহুম আলী নেওয়াজের বাড়ি পুলিশের সহযোগিতায় জবর দখল করেছে সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন। এ সময় সংর্ঘষ ও গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটে। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ লিয়াকত আলী বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে কোন মারামারি হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতেই আহত চেয়ারম্যান বাদী হয়ে চাচাতো ভাই জিতু মিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা (নং ২৯ তাং ৩০-১২-২০১৪ইং) দায়ের করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর